⏲ ভোর ৫:৩২ সোমবার
📆 ৮ পৌষ, ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চৌধুরী মাশকুর সালাম:

সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননে ইসরাইলি সেনাদের স্থল আগ্রাসন চালানোর একাধিক চেষ্টা সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করেছেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। একদিকে সীমান্তে দখলদার সেনাদের উপর বিরোচিত হামলা হয়েছে, অন্যদিকে রকেটের ঝড় বয়ে গেছে। ইসরাইলে এসব হামলায় ২৫ দখলদার সেনার প্রাণহানি এবং ১৩২ সেনার গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে আল মায়াদিন। ইসরাইলি চ্যানেল ১২ এর ভাষ্য শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১৩৫ টি রকেট আঘাত হেনেছে ইসরাইলে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে ইসরাইল যেভাবে লেবাননে হামলা চালাচ্ছে, তাদের হামলা সেরকম নির্বিচার নয়, তারা বেসামরিক এলাকা এবং অবকাঠামোকে এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানছেন।

প্যালেস্টাইন ক্রনিকলের খবরে বলা হয় শনিবার তাদের অভিযান শুরু হয় ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা অতিক্রম করার পরপরই। এসময় তারা সীমান্তের দিকে অগ্রসরমান সেনাদের ওপর বিশাল বোমার বিস্ফোরণ ঘটান, একই সঙ্গে ভয়াবহ মুখোমুখি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন তাদের যোদ্ধারা। এতে ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে এবং তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। এরপর রাত দুই টার দিকে দখলদার বাহিনী আল ওদাইসা শহরের পাশে আবার অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেই চেষ্টা দীর্ঘভাবে প্রতিহত করেন, সীমান্তে হামলা পাল্টা হামলা চলছিল শনিবার সকালেও। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া দুই টায় শুরু হয় ইসরাইলে আঘাত হানার পালা, এসময় কফাল জুবালে শত্রু সেনাদের সমাবেশে এক ঝাঁক রকেট নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ, এর ১৫ মিনিট পর কফার গেলাদি ও হাল্লেত আবিরে শত্রু সেনাদের লক্ষ্য করে রকেটের আরেকটি ঝাঁক ছোড়া হয়। এরপর মারুন ফরেস্টের শেষ প্রান্তে আলবাদ মালভূমির দিকে অগ্রসরমান একটি মার্কাভা ট্যাংকে সরাসরি আঘাত হানে হিজবুল্লাহর গাইডেড মিসাইল, এতে ক্রুদের সবাই নিহত এবং আহত হন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। হামলার ধারাবাহিকতায় এরপর আঘাত করা হয় রামাদ ডেভিড ঘাঁটি, সাসা বসতি, কার্মিয়েল বসতি, সাফাত শহর, দানবসতি ও মালে গোলানি ব্যারাকে। এই ছয় দফা হামলায় নিয়মিত রকেটের পাশাপাশি ফাদি ওয়ান ও ফালাক টু মিসাইল ব্যবহার করা হয়। এরপর ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট গিয়ে পড়ে শাখনিনের পাশে আতা মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি কাতজিরিম বসতির সেনা সমাবেশ ও জাল আল দেই সাইটে জড়ো হওয়া ইসরাইলি সেনাদের উপর।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে প্রচন্ড লড়াই করেছেন প্রতিরোধ সংগঠন আল আকসা মার্টারস ব্রিগেডস এর যোদ্ধারা। শনিবার তুবাসের সিলাত আল হারিথিয়ায় মেশিনগান নিয়ে সেনাদের সঙ্গে মুখোমুখী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন তারা, এসময় সেনাদল এবং তাদের গাড়িগুলোর ওপর বিভিন্ন ধরনের এক্সক্লুসিভ ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তোবাস শহরে ও দখলদার সেনাদের সঙ্গে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, সেখানে মেশিনগান ব্যবহার করেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এদিন ইসরাইলের কিসুফিম মিলিটারি সাইটে একঝাক রকেট নিক্ষেপ করে অন্য প্রতিরোধ সংগঠন মার্টার আবু আলী মোস্তফা ব্রিগেডস, ইরাকের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর জোট ইসলামিক রেজিস্টেন্স ইন ইরাক জানিয়েছে শনিবার উত্তর ইসরাইলের হাইপার উপশহরগুলোতে মিসাইল হামলা চালিয়েছেন তাদের যোদ্ধারা। হামলায় অত্যাধুনিক আরকাব ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়, দক্ষিণ ইসরাইলের মিসাইল হামলা চালান তারা এদিন উত্তর ইসরাইলের আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থানে হামলা চালান তাদের একঝাক ড্রোন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন ইসরাইল ইরানে হামলা করলে আগের চেয়ে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামিস্কে প্রেস ব্রিফিং এ তিনি বলেন ইসরাইলের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য ইরানের পক্ষ থেকে সমান কিংবা এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে। আমরা অতীতে এটি প্রমাণ করেছিল, আবারো ইরানীদের ঈমান পরীক্ষা করতে পারে জানিয়ে আরাকছি বলেন এবার আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে আগের চেয়েও স্পষ্ট।

এদিন দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন তার দেশ ইসরাইলের দখলদারিত্ব এবং একের পর এক যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট খোলার মোকাবিলায় সিরিয়া এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। আঞ্চলিক দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি শনিবার বৈরুদ থেকে দামেস্কে পৌঁছান, বৈঠকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসরাইলের হটকারিতা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। বাশার আল আসাদ ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের মঙ্গলবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন ওই হামলা ছিল প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে তেল আবিবের জন্য একটি বড় শিক্ষা।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের গত সপ্তাহের প্রতিশোধমূলক হামলাকে ইতিহাসের বৃহত্তম হামলা বলে অভিহিত করেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সে শনিবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছে ইরান দুই দফায় ইসরাইলের দিকে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলের তিনটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর আগে তেহরান এপ্রিলে ইসরাইল অভিমুখে অন্তত ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। নেতা নিয়াহু দাবি করেছে ইসরাইলের আত্মরক্ষা করার ও এসব হামলার জবাব দেয়ার অধিকার রয়েছে এবং তা সে করবেই।

তবে তেহরান মঙ্গলবারের হামলা চালিয়েই বলেছিল পাল্টা আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করা হলে ইসরাইলের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হবে। নেতানিয়াহু তার ভিডিও বার্তার অন্যত্র দাবি করেছে এ পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে যেখানে যত হামলা হয়েছে তার সবগুলোর পেছনে ইরানের হাত ছিল। সে এমন সময় দাবি করল যখন ইরান বারবার বলে আসছে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইরানের কোন প্রক্সি গ্রুপ নেই এবং যেসব প্রতিরোধ সংগঠন ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তারা নিজেরা ইসরাইলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রতিশোধ নিচ্ছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা, যুক্তরাষ্ট্র আভাস দিয়েছে ইরানে ইসরাইলের হামলা আসন্ন, তবে তারা তেহরানের পারমাণবিক কিংবা তেল স্থাপনায় হামলার পক্ষে নয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এটাও জানিয়েছে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হবে না এমন কোন নিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্রকে দেয়নি ইসরাইল। ইসরাইলের এক সামরিক কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার এএফপি কে বলেছে দেশটির সেনাবাহিনীর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর বেশি কিছু সে জানাননি। ইসরাইলি সংবাদপত্র হারেস সামরিক সূত্রের বরাদ বলেছে সামরিক বাহিনী বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৭ অক্টোবর ইরানে পাল্টা হামলা হতে পারে বলে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে, তবে এটি ইসরাইল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কোন তরফে নিশ্চিত করা হয়নি।

ওয়াশিংটন পোস্ট শনিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে অপারেশন আল আকসা ফ্লাড হিসেবে পরিচিত ৭ অক্টোবরের অভিযানের আগে দীর্ঘ সময় ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সিনওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া কয়েকটি সূত্রের বরাতের খবরে বলা হয় খুঁটি নাটি না জানিয়ে সে সময়ই তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার আভাস দিয়েছিলেন। আলোচিত সেই অভিযানের বর্ষপূর্তির আগেই প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, সিনওয়ারের নেতৃত্বে হামাস কিভাবে সূক্ষভাবে অভিযান পরিচালনা করেছিল, অস্ত্রভান্ডার তৈরি করেছিল এবং একটি জটিল আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল নেটওয়ার্ক বানিয়েছিল।

বছরের পর বছর ধরে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পরও হামাস কিভাবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে রকেট এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের অত্যাধুনিক অস্ত্রগার তৈরি করে, প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়। এই কাজে তারা ইরানের কাছ থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন বলেও জানায় ওয়াশিংটন পোস্ট। খবরে বলা হয় সহায়তা তহবিল দাতব্য অনুদান এবং স্থানীয় রাজস্বের অর্থ এই অস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। তাদের ভাষ্য গাজা মেট্রো হিসেবে পরিচিত সুবিশাল ভূগর্ভস্থ টানেল ব্যবস্থার কারণে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ নজরদারীর বাইরে ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয় টানেল নেটওয়ার্কের এই পরিধি পরে ইসরাইলি সেনাদের বিস্মিত করে, যা মাটির ১২০ ফুট পর্যন্ত নিচে শত শত মাইল বিস্তৃত ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। হামাস অস্ত্রশস্ত্রে আত্মনির্ভরশীল ছিল এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত অন্তত ৮০% অস্ত্র তাদের নিজেদের তৈরি বলে জানায় ওয়াশিংটন পোস্ট। প্রতিবেদন অনুযায়ী সিনাওয়ার যখন নিশ্চিত হন বাইরের সহায়তা ছাড়া তারা যুদ্ধ শুরু করতে পারবেন এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এই যুদ্ধ টেনে নিতে পারবেন, তখন তিনি ইসরাইলে হামলা চালান।

হামাসের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে সমরাস্ত্রে আত্মনির্ভরশীলতা তাদের ভালোভাবে টিকিয়ে রেখেছে, হাজার হাজার যোদ্ধা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার হারানোর পরও হামাস পুরোদমে সক্রিয়। আল আকসা ফ্লাড অভিযানের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে শনিবার ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন লাখো বিক্ষোভকারী। প্রায় ৪০,০০০ চল্লিশ হাজার মানুষ লন্ডনে মিছিল করেন. প্যারিস, রোম, কেপটাউন ও ম্যানিলাতেও জড়ো হয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা।

লন্ডনে অ্যাগনেস্করি নামের এক আন্দোলনকারী বলেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমস্ত সদিচ্ছার দিকে ইসরাইলি সরকারের কোন মনোযোগ নেই, তারা গাজা লেবানন এবং ইয়েমেনে সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, সামনে হয়তো তারা ইরানেও আগ্রাসন শুরু করবে, তিনি বলেন আমাদের সরকার কেবল কয়েকটি মন্তব্য করেই দায়িত্ব শেষ করছে, অন্যদিকে ইসরাইলকে ঠিকই সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। প্যারিসে বিক্ষোভে নেমেছিলেন লেবানিস ফরাসি হোসেন, তিনি বলেন আঞ্চলিক যুদ্ধ নিয়ে আমরা শংকায় আছি, কারণ ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, চলমান সহিংসতা আমাদের বন্ধ করতেই হবে। ৭ অক্টোবরকে সামনে রেখে রোমে যেকোনো সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু তা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। তাদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিন এবং লেবাননের পতাকা। বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চিলির বেশ কিছু শহরেও।

আলজাজিরা জানিয়েছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলীগুলোতে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত হামলা হয়েছে, লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে হিজবুল্লাহর পরবর্তী নেতা হিসেবে যাকে বিবেচনা করা হয়েছিল, গত শুক্রবার থেকে সংগঠনটির নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান হাশেম শফিউদ্দিনের সঙ্গে তারা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছেন।

বৃহস্পতিবার শেষ রাতে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলীতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। হাশেম শাফিউদ্দিনের অবস্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে তিনি ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে ছিলেন। শনিবার লেবাননের পাশাপাশি গাজায়ও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, মধ্যম গাজার তেইল আলবালায় শাহাদা আল আকসা মসজিদে শনিবারের হামলায় অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি শহীদ হন। বাস্তচ্যুত বহু ফিলিস্তিনি ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪১,৮২৫ একচল্লিশ হাজারা আটশত পঁচিশ জন শহীদ হন, যাদের ৭০% শতাংশই শিশু ও নারী।

Muhurto 24 News
📆 আজ: সোমবার
🕐 সময় -ভোর ৫:৩২ - (শীতকাল)
◘ ৮ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
◘ ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ - হিজরী