⏲ দুপুর ২:০১ বুধবার
📆 ১০ পৌষ, ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শ্রীমঙ্গলে মুষলধারে বৃষ্টি; কৃষির জন্য আশির্বাদ

এহসান বিন মুজাহির, বিশেষ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আকাশে মেঘ রোদ্দুরের খেলা চলছিল।সকাল সাড়ে ১১টায় ঝির ঝির করে বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পরই চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হওয়ার পর থামে যায়। এরপর বিকেল ৩টা থেকে ৫টা (এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) মুষলধারে বৃষ্টি চলমান রয়েছে। ফাল্গুনের এ বৃষ্টিতে প্রকৃতি সিক্ত হওয়ার পাশাপাশি শীতের অনুভূতি একটু বেড়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট ও প্রকৃতিতে ধুলোর যে আস্তরণ পড়েছিল তা ধুয়ে গেছে। 

বৃষ্টিতে ছাতা হাতে একজন পথচারী

এ সময়ের বৃষ্টি কৃষির জন্য আশির্বাদ বয়ে এনেছে। বোরো ধান ও আমের মুকুলের জন্য খুবই উপকার হয়েছে। বিশেষ করে বোরো খেতের সেচের পানির জন্য যে বিদ্যুৎ ও  জ্বালানি তেল খরচ হতো তা সাশ্রয় হওয়ায় কৃষক অনেকটাই স্বস্তিবোধ করছেন। আবার অসময়ের বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির ফলে শহর ও গ্রামের অনেক রাস্তায় সাময়িক পানি জমে গেছে।

ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে সাময়িক একটু অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। শহরের কালিঘাট রোড, স্টেশন রোডস্থ বিভিন্ন স্থানে রিকশা এবং টমটম চালকদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালিঘাট রোড, সিন্দুরখান রোড, জালালিয়া রোডসহ অনেক স্থানে চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঝুম বৃষ্টি কৃষির জন্য সুফল বয়ে এনেছে। বিশেষ করে বোরো খেতের সেচের পানির জন্য যে বিদ্যুৎ ও  জ্বালানি তেল খরচ হতো তা সাশ্রয় হওয়ায় কৃষক অনেকটাই উপকৃত হবেন। এছাড়া চা বাগানগুলোতেও এ বৃষ্টি সজিবতা আনবর বলে চা সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দীর্ঘ খরা ও বৃষ্টিহীন মৌসুমের পর প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে ওঠে তখন এমন হালকা বর্ষণ ফসলের জন্য উপকার বয়ে নিয়ে আসে।

Muhurto 24 News
📆 আজ: বুধবার
🕐 সময় -দুপুর ২:০১ - (শীতকাল)
◘ ১০ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
◘ ২২ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ - হিজরী