ডেস্ক রিপোর্ট: আজ জুম্মার নামাজের পর সিলেটের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুসল্লিরা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
উগ্র মৌলবাদী ইসকন কর্তৃক আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামে ছয় বছর ধরে আইনি প্রাকটিস করছেন। গত বছর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। তিনি ইসকন সংক্রান্ত কোন মামলায় যুক্ত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রাম আদালতের বিপরীত দিকে অবস্থিত স্থানীয়ভাবে পরিচিত রঙ্গম গলি বা মেথর পট্টির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ইসকন সমর্থকরা।
জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদের দ্বিতীয় জানাজায় ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রামের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম নগরীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ প্রচুর মানুষ অংশ নেন।
সেদিন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমকে হত্যা করার জন্য তাদের বহনকারী গাড়িতে ট্রাক দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসকন সমর্থকরা, এই ঘটনায় জড়িত ট্রাক চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিবিসি বাংলা লিখেছে যে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মো. রইস উদ্দিন তাদের জানিয়েছেন “আমরা যে ভিডিও পেয়েছি তা দেখে শনাক্তের চেষ্টা করছি। সেই সাথে আইনজীবী নিহতের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আমরা সাত জনকে গ্রেফতার দেখাচ্ছি। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদানের অভিযোগে আরও ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে ইসকন নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশে ইসকন এখনো নিষিদ্ধ হয়নি। ইসকন নেতার উস্কানি মূলক বক্তব্য বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গত তারিখে উস্কানি দাতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, গত স্বৈরাচারী অবৈধ হাসিনা সরকারের সহযোগিতা করে আসছিল এই উগ্রবাদী সংগঠন ইসকন। ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ বিভিন্ন বক্তব্যে বলেছিলেন যে বাংলাদেশে তাদের কাজ হচ্ছে হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৩০ দিন স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বৃহস্পতিবার এসব ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।