ইয়েমেন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরাইলকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এর গতি শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কোনো অংশই এই ক্ষেপণাস্ত্রকে থামাতে পারেনি। এটি ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে, অথচ ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি দেয়নি। তারা দাবি করেছে যে তাদের কোনো সাইরেন বাজেনি, কোনো সতর্কতা জারি হয়নি, এমনকি তাদের সামরিক ঘাঁটিতে আঘাতের কোনো খবরও তারা জানে না।
ইসরায়েল কেন এই ঘটনাটি স্বীকার করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে ইয়েমেন থেকে উড়ে এসে ইসরায়েলে আঘাত করেছে। সাধারণত, ইসরায়েল যেকোনো হামলার বিষয়ে দ্রুত স্বীকারোক্তি দেয়, কিন্তু এবার তারা নিরবতা পালন করছে, যা সন্দেহজনক।
এদিকে, হিজবুল্লাহ নেতানিয়াহুর বাড়িতে একটি ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে। ড্রোনটি নেতানিয়াহুর শোবার ঘরের জানালা ভেঙে দিয়েছে, যা অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট আক্রমণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ইসরায়েলের মতো একটি দেশ, যাদের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আমেরিকার সহায়তা রয়েছে, সেখানে এমন আক্রমণ সত্যিই চিন্তায় ফেলেছে মোসাদের মতো গোয়েন্দাদের।
নেতানিয়াহু বলেছে যে তার এবং তার স্ত্রীর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছিল, এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে, ইসরায়েল এই আক্রমণের সম্পূর্ণ সত্যতা স্বীকার করেনি এবং এটি হিজবুল্লাহর কাজ বলে উল্লেখ করছে।
এই ঘটনাগুলো ইসরায়েলের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং তারা এখন এই পরিস্থিতি বিশ্বকে জানাতে হিমশিম খাচ্ছে। ইয়েমেনের এই আক্রমণ ইসরায়েলের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং এটি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল এখন কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে পারছে না এবং বিশ্বকে এই ঘটনাগুলোর প্রকৃত সত্য জানাতে লুকোচুরি করছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ইয়েমেন তাদের আক্রমণের সত্যতা প্রমাণ করতে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করবে। ইসরায়েল জানে যে ইয়েমেনের এই আক্রমণের ফলে তাদের মাটির নিচের ভিত্তি নড়ে গেছে, এখন তারা ঐ সবসময়ের মতোই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বকে কিছু একটা বলে দেবে।